পটেনশিয়াল আইটি https://www.potentialit.xyz/2023/09/teeth-sensitive.html

দাঁত শিরশির করে কেন?

নবজাতকের ত্বকের যত্ন কিভাবে নিবেন?

ঠান্ডা/গরম কিছুই খেতে পারছেন না! মিষ্টি জাতীয় খাবারে, ঠান্ডা বাতাসে দাঁতে কেমন যেন যন্ত্রণা হচ্ছে! এসবের কারণ হলো ডেন্টিনাল হাইপারসেন্সিটিভিটি।

দাঁত শিরশির করার কারণ ও প্রতিকার

দাঁতের সবচেয়ে বাইরের স্তর হলো এনামেল, যা শরীরের সবচেয়ে কঠিনতম অংশ। তার ঠিক পরের স্তর অত্যন্ত সংবেদনশীল - যার নাম হলো ডেন্টিন। দাঁত শিরশির হওয়ার পিছনে এর ভূমিকা আছে। যে কোন এসিডিক পরিবেশে এনামেল ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে বেরিয়ে আসে ডেন্টিন আর তখনই শুরু হয় শিরশির অনুভুতি। এই অনুভুতি এক থেকে একাধিক দাঁতে হতে পারে।

আসুন জেনে নেই এর কারণ - 

১) দাঁতের কোন অংশ ভেঙ্গে গেলে।

২) দাঁতের মাড়ি নিচে সরে গেলে।

৩) এনামেল ক্ষয় হতে পারে এমন কিছু হলে যেমন - 

  • অতিরিক্ত এসিডিক খাদ্য গ্রহন(লেবু, মাল্টা, ভিনেগার ইত্যাদি)
  • পরিপাকতন্ত্রের পীড়া যেমন - পেপটিক আলসার ডিজিজ, গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ।
  • শক্ত ব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করা।
  • উপরে নিচে ব্রাশ না করে আগে পিছে ব্রাশ করা।
  • কালো দাঁতের মাজন ব্যবহার করা।

৪) দাঁতে ক্যাভিটি/গর্ত হয়ে গেলে।

৫) দাঁতের ফিলিং পড়ে গেলে।

৬) কখনো কখনো কোন দন্ত চিকিৎসার পরে যেমনঃ রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট, ফিলিং,স্কেলিং করার পরে।

৭) বয়সজনিত কারণে।

৮) দীর্ঘসময় ধরে মাউথওয়াশ ব্যবহার করার কারণে।

 ৯) মিষ্টিজাতীয় টকজাতীয় খাদ্য ও পানীয়। 

১০) দীর্ঘদিন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে কুলি করা। 

দাঁত শিরশির থেকে মুক্তির উপায়

বিভিন্ন কারণে দাঁত শিরশির করতে পারে। সেই কারণের সাথে সাথে এর চিকিৎসাও ভিন্ন ভিন্ন। তবে কারো দাঁতে শিরশির অনুভুত হলে দেরি না করে একজন বি.ডি.এস ডিগ্রীধারী ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ৬-১২ মাস অন্তর দাঁতের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কথায় আছে না? আঁতে তিতা দাঁতে নুন, উদর ভরো তিন কোণ।

সুতরাং প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে লবন মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার কুলি করতে পারেন। এতে সাময়িক আরাম পাবেন এবং ফ্লুরাইড সমৃদ্ধ টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে হবে।

দাঁত ব্রাশ করার সঠিক সময় কখন?

দাঁত ভালো রাখতে হলে সঠিক সময়ে সঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ করার কোন বিকল্প নেই। দাঁতের যত্নে দু’বেলা ব্রাশ করা আবশ্যক, সকাল এবং রাত। 

সকালে কখন ব্রাশ করবো? নাশতার আগে নাকি পরে?

অধিকাংশ মানুষই ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করাকে গুরুত্ব দেন; এ ধারণা সঠিক নয়। নাশতার পরে দাঁতে খাদ্যকণা জমে, তাই নাশতা খাওয়ার পরে দাঁত ব্রাশ করলে দীর্ঘসময় দাঁত পরিষ্কার থাকে। যার কারনে দাঁতে জীবাণুর আক্রমন কমে যায়। 

অনেক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যারা রাতে ঘুমানোর পূর্বে এবং সকালে নাশতা খাওয়ার পরে দাঁত ব্রাশ করেন তাদের দন্ত রোগের আধিক্য অনেক কম। সুতরাং সকালে নাশতা খাওয়ার ৩০ মিনিট পরে এবং রাত ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। 

লেখক - ডাঃ সানজিদা রশিদ

বি.ডি.এস (সিইউ), পিজিটি (চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ)

ওরাল এন্ড ডেন্টাল সার্জন

বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

এখনি কমেন্ট করুন

7 জন কমেন্ট করেছেন

দয়া করে কমেন্ট নীতিমালা পড়ুন emoji

  1. খুব ভালো উপদেশ। দাঁতের জন্য ভালো ব্রাশ কোনটা?

    উত্তরমুছুন
  2. নামহীন১২:৪২ AM

    ধন্যবাদ। ডাক্তারের লেখনী ভালো।

    উত্তরমুছুন
  3. Great suggestion👍. Is she available for online/offline appointment?

    উত্তরমুছুন
  4. নামহীন১০:৫২ AM

    দাত সোজা করার জন্য ক্লিপ ব্যবহার করা কি হারাম?

    উত্তরমুছুন
  5. Very informative. Which toothbrush is good in bd?

    উত্তরমুছুন
  6. চেম্বারে দেখাবো কিভাবে? ঢাকা বসে?
    উনার সম্মানী কত?

    উত্তরমুছুন

পটেনশিয়াল আইটি কী?