অন পেজ এসইও কি? On-Page SEO গাইডলাইন ২০২৪
অন পেজ এসইও (on-page seo) হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিন ও ভিজিটরদের জন্য অপটিমাইজ করার পদ্ধতি। আমাদের এই গাইডলাইন পড়লে on-page seo সম্পর্কে আপনার কোন কনফিউশন থাকবে না। কারণ এখানে আপনি জানবেন-
এসইও কি? (What is SEO)
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) হলো সার্চ ইঞ্জিনের অর্গানিক র্যাংকিং থেকে কোন একটি ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আনার পদ্ধতি। SEO এর সাথে যুক্ত বিষয়গুলো হচ্ছে - ভালো মানের ইউনিক কনটেন্ট, কিওয়ার্ড দিয়ে কনটেন্ট অপ্টিমাইজ করা, ব্যাকলিংক তৈরি করা ইত্যাদি।
সহজ ভাষায় Search Engine Optimization (SEO) হলো সার্চ রেজাল্টে একটি সাইটের অর্গানিক র্যাংকিংয়ের উন্নতি করা।
অন পেজ এসইও কি? (What is On-Page SEO)
On Page SEO হলো ওয়েবসাইটের ভিতরের কোন ওয়েব পেজ ইউজার ও সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপ্টিমাইজ করা। অন পেজ এসইও (On-Page SEO) এর মধ্যে কনটেন্ট, টাইটেল ট্যাগ, ইউআরএল, ইন্টার্নাল লিংকিং, লোডিং স্পিড ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।
অন পেজ এসইও-কে অনেকে অন সাইট এসইও বলে থাকেন। অন পেজ এসইও আপনাকে ওয়েবসাইটের ভিতরে করতে হবে যা অফ পেজ এসইও থেকে ভিন্ন।
অন পেজ এসইও এবং অফ পেজ এসইও এর পার্থক্য
অন পেজ এসইও | অফ পেজ এসইও |
---|---|
On-site SEO এর মধ্যে রয়েছে ভালো কন্টেন্ট লেখা, কীওয়ার্ড রিসার্চ, সঠিক জায়গায় কীওয়ার্ড বসানো, টাইটেল ট্যাগ, অল্ট ট্যাগ ইত্যাদি। | অফ পেজ এসইও এর মধ্যে রয়েছে লিঙ্ক বিল্ডিং, অথোরিটি বাড়ানো, সার্চ ইঞ্জিন, লিংক এক্সচেঞ্জ ইত্যাদি। |
অন সাইট এসইও তে আমরা সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট বিশ্লেষণ করে থাকি। | Off-Page SEO-তে আমরা ওয়েবসাইট প্রোমোট করি। |
ইন্টার্নাল লিংকিং করা হয়। | অন্য ওয়েবসাইট থেকে লিংক নিয়ে থাকি। |
On-site SEO এর কিছু কার্যাবলি হলো-
|
Off-Site SEO এর কাজগুলো হচ্ছে-
|
MOZ এর তথ্যানুযায়ী ওয়েবসাইটের পেছনে ব্যয়িত সময়ের ৭০% অন পেজ এসইও-তে ব্যয় করা হয়। | MOZ এর তথ্যানুযায়ী ওয়েবসাইটের পেছনে ব্যয়িত সময়ের ৩০% অন পেজ এসইও-তে ব্যয় করা হয়। |
অন পেজ অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে আপনার সাইটের কোয়ালিটি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। | অফ পেজ অপটিমাইজেশন আপনার সাইট কতটা জনপ্রিয় তা দেখে। |
অন পেজ SEO কেন গুরুত্বপূর্ণ?
অন পেজ SEO খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর কারণ এটি সার্চ ইঞ্জিনকে আপনার ওয়েবসাইট এবং সাইটের কনটেন্ট বুঝতে সাহায্য করে। তাছাড়া এটি কোন কীওয়ার্ডের/ সার্চের জন্য সার্পে শো করাতে হবে সেটি বুঝতেও সহায়তা করে।
বর্তমানে সকল সার্চ ইঞ্জিন খুবই স্মার্ট ফলে সার্চ ইনটেন্ট, প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড, ইউজার কুয়েরি ইত্যাদিতে অনেক বেশি ফোকাস করে থাকে।
- একজন ইউজার ঠিক যে জিনিসটার জন্য সার্চ করে সেটি আপনার কনটেন্টে আছে কিনা।
- User Intend বুঝতে সার্চ রেজাল্ট শো করানো।
গুগল প্রতিনিয়ত এলগোরিদম আপডেট করে থাকে। ফলে গুগলের আপডেট সম্পর্কে জেনে আপনাকে কনটেন্ট দিতে হবে। কনটেন্টের প্রতিটি ভাগ যেমনঃ টাইটেল, ইমেজ, হেডিং, কীওয়ার্ড প্লেসমেন্ট প্রতিটি জিনিস সঠিকভাবে অপটিমাইজ করতে হবে। ফলে বুঝতেই পারছেন আপনার সাইট সার্চ ইঞ্জিনে শো করানো থেকে উচ্চতর র্যাংকিংয়ে অনপেজ এসইও এর গুরুত্ব অপরসীম।
কিভাবে On-Page Optimization করবেন?
On-Page Optimization কি ও এর গুরুত্ব ইতোমধ্যে বুঝতে পেরেছেন। এবার আপনার ওয়েবসাইটে সঠিক উপায়ে অনপেজ এসইও করার পদ্ধতি ধাপে ধাপে আলোচনা করবো। তবে On-Page Optimization করার জন্য কিছু অনলাইন টুলসের প্রয়োজন হবে সেগুলো হলোঃ
- Ahrefs
- Ubersuggest
- Semrush
- Keyword Revealer
- Google Search Console
- Google Analytics
- Grammarly
- Canva
- Tinypng
- and BONUS TOOLs
কীওয়ার্ড রিসার্চ
কীওয়ার্ড রিসার্চ হলো নতুন শব্দ বা বাক্যাংশ বের করার পদ্ধতি যেগুলো লিখে মানুষ সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে থাকে যেমনঃ গুগল, বিং, ইয়াহু কিংবা ইউটিউব।
ধরুন আপনি একটি লাইব্রেরিতে গিয়েছেন এবং লাইব্রেরিয়ানকে একটি প্রেমের বই বের করে দিতে বললেন। এখন সে এতগুলো বইয়ের ভিতর থেকে কিভাবে আপনার বইটি বের করবেন? এখানে নিম্নলিখিত পদ্ধতি কাজে লাগতে পারে -
- লাইব্রেরিতে প্রেমের বই থাকতে হবে।
- লাইব্রেরিয়ান পূর্বে প্রেমের বই পড়েছেন।
- লাইব্রেরিয়ান প্রেমের বইয়ের নাম জানেন
- কিংবা লেখকদের নাম জানেন যারা এই জাতীয় বই লিখেন।
ঠিক একইভাবে একজন মানুষ যখন সার্চ ইঞ্জিনে কোন কিছু খুঁজেন করেন তখন গুগল/ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন এই কিওয়ার্ড কোন কোন সাইটে আছে সেটি খুঁজে বের করে। যদি একাধিক সাইটে পাওয়া যায় তখন কিছু ম্যাট্রিক্সের উপর ভিত্তি করে ক্রমানুসারে সার্চ রেজাল্ট সাজায় যা এখানে ধাপে ধাপে আলোচনা করবো।
আশা করি আপনি কীওয়ার্ড রিসার্চ জিনিসটা আসলে কি তা বুঝেছেন। এবার আসেন আমরা স্টেপ বাই স্টেপ কীওয়ার্ড রিসার্চ করার পদ্ধতিগুলো জেনে নেই।
গুগল রিলেটেড সার্চ
আমরা গুগলে কোন কিছু সার্চ করার পরে ১ম ১০টা রেজাল্ট দেখতে পাই। এই রেজাল্টের নিচে (ডেস্কটপ ভার্সন) ও মাঝে (মোবাইল ভার্সন) "Related searches" নামে একটি সেকশন দেখতে পাই। এখানে আমাদের সার্চ করা কিওয়ার্ডের সাথে সম্পর্কযুক আরও কিছু কীওয়ার্ড দেখতে পাই।
এই সকল কীওয়ার্ড আমাদের সার্চ করা শব্দ বা বাক্যাংশের সাথে মিলযুক্ত হয়ে থাকে এবং এগুলো লিখে মানুষ সার্চ করে থাকেন। ফলে আপনি এই সকল কিওয়ার্ড আপনার পোস্টে ব্যবহার করতে পারেন।
গুগল অটো সাজেশন
আমরা যখন গুগলে কিছু লিখে সার্চ করতে থাকি ঠিক এর নিচে সার্চ ইঞ্জিন আমাদেরকে কিছু শব্দগুচ্ছ দেখায় যা আমাদের সার্চের সাথে মিলযুক্ত হয়। নিচের ছবিটি দেখলে আমরা সহজেই বুঝতে পারবো।
এখানে যদি আমরা দেখাল করি তাহলে দেখবো "best content writing" লেখার পর গুগল আমাদেরকে সার্চ করার জন্য অটো সাজেস্ট করছে। আসলে এগুলো লিখে মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকেন তাই গুগল এগুলো শো করে। এ সকল কীওয়ার্ড আপনি কনটেন্ট কিংবা আর্টিকেলে ব্যবহার করতে পারেন।
অনলাইন টুলসের সাহায্যে কীওয়ার্ড রিসার্চ
অনলাইন কীওয়ার্ড রিসার্চ টুলস এর সাহায্যে খুব সহজেই আপনি এক ক্লিকে কয়েক'শ keyword বের করতে পারবেন। এখানে আমরা প্রথমে Ubersuggest Keyword Research Tool এর ব্যবহার দেখবো। প্রথমে আপনাকে এই লিংকে ক্লিক করে উবারসাজেস্ট কিওয়ার্ড রিসার্চ ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
এরপর Keywords মেনুতে ক্লিক করে Keyword Overview সাবমেনুতে ক্লিক করবেন। এবার আপনার সামনে একটি সার্চ বক্স চলে আসবে সেখানে কীওয়ার্ড টাইপ করে Search বাটনে হিট করবেন। নিচের ছবির মত রেজাল্ট আপনার স্ক্রিনে ভেসে উঠবে।
এখানে আমরা অনেকগুলো মানদন্ড ও টার্ম দেখতে পারছি। প্রতিটির সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা আমি তুলে ধরছি।
সার্চ ভলিউমঃ একটি কীওয়ার্ড লিখে প্রতিমাসে গুগলে কতবার সার্চ করা হয়।
Search Optimization ডিফিকাল্টিঃ অর্গানিক সার্চে একটি কীওয়ার্ড কতটা প্রতিযোগিতাপূর্ণ। আরও সহজ ভাষায় বললে একটি কীওয়ার্ড দিয়ে আর্টিকেল লিখে উক্ত আর্টিকেল গুগলে র্যাংক করাতে কেমন প্রতিযোগিতা ফেস করতে হবে সেটির মানদণ্ড। এখানে নাম্বার যত বেশি হবে প্রতিযোগিতা তত বেশি। তবে এই ক্ষেত্রে একটি ঝামেলা আছে কারণ উবারসাজেস্ট ব্যাকলিংকের উপর ভিত্তি করে এই ফলাফল প্রদান করে।
পেইড ডিফিকাল্টিঃ যারা সার্চ ইঞ্জিনে এড রান করবেন এটি তাদের জন্য। অর্থাৎ এই কীওয়ার্ডে বিডিং করতে কেমন প্রতিযোগিতা তা বুঝা যায়। এই নম্বর যত বেশি হবে মিডিয়া বায়ারদের জন্য তত কঠিন হবে।
সিপিসিঃ CPC এর পূর্ণরূপ হলো Cost Per Click। এটিও মিডিয়া বায়ারদের জন্য। আপনি একটি কীওয়ার্ডের বিপরীতে এড রান করলে পার ক্লিকে কত টাকা কেটে রাখবে সেটা নিয়ে একটি ধারণা পাওয়া যায়। অনেকেই মনে করেন এটা গুগল এডসেন্স সিপিসি যা সম্পূর্ণ ভুল। তবে একটি ধারণা পাবেন।
এখানে একদম নিচে আরও দুইটি তথ্য দেওয়া আছে। একটি হচ্ছে আপনার কীওয়ার্ডের উপরে টপ টেনে র্যাংক করা পেজের গড়ে কয়টি ব্যাকলিংক আছে এবং অন্যটি হলো ডোমেইন অথোরিটি।
এই সংখ্যা যত বেশি হবে উক্ত কীওয়ার্ডের উপরে র্যাংক করতে তত সময় লাগবে/ করতে পারবেন না। তবে এখানে বিভিন্ন কৌশল আছে যা এখানে ধীরে ধীরে আলোচনায় চলে আসবে।
টাইটেলের শুরুতেই কীওয়ার্ড ব্যবহার
টাইটেল ট্যাগ গুগল র্যাংকিং ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে থাকে। আপনার টাইটেল ট্যাগ সার্চ ইঞ্জিনকে কনটেন্ট সম্পর্কে খুব স্ট্রং সিগনাল দিয়ে থাকে। ফলে সহজেই সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে আপনি কোন টপিকে/ কী নিয়ে কনটেন্ট লিখেছেন।
ফলে আপনার শিরোনামে যতটা সম্ভব শুরুর দিকে কীওয়ার্ড রাখার চেষ্টা করবেন। টাইটেল ট্যাগের গুরুত্ব নিয়ে গুগলের ওয়েবমাস্টার ট্রেন্ড এনালিস্ট Gary Illyes এর একটি টুইট উল্লেখ করা যেতে পারে।
তবে সম্প্রতি গুগল টাইটেল ট্যাগ রিরাইট করে সার্চ রেজাল্ট পেজে দেখানো শুরু করেছে। আমরা এখানে "প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তির টাকা 2022" লিখে সার্চ করেছি এবং রেজাল্ট পেজের তিনটা কনটেন্টেরই টাইটেল চেঞ্জ করা হয়েছে দেখতে পাচ্ছি। নিচে এর একটি স্ক্রিনশট যুক্ত করে দেওয়া হলো-
ফলে আগে যেমন "ক্লিকবেট" শিরোনাম ব্যবহার করে সাইটের সিটিআর বাড়ানো যেত এখন আর সেটি সম্ভব হবে না বলে মনে হয়। গুগল কিভাবে টাইটেল রিরাইট করে সেটি এবং কিভাবে এটি থেকে বাঁচবেন সেটা নিয়ে পোস্ট পেতে চাইলে কমেন্ট করুন।
অনেক এসইও এক্সপার্টরাই মনে করেন টাইটেল ট্যাগ গুগলের গুরুত্বপূর্ণ একটি র্যাংকিং ফ্যাক্টর। তবে আমি বহু ওয়েবসাইট দেখেছি এমনকি আমার সাইটেও টাইটেলে ব্যবহার করা হয়নি এমন কীওয়ার্ডের উপর গুগল র্যাংক দিয়েছে। আসলে টাইটেল ট্যাগ অন্যতম র্যাংকিং ফ্যাক্টর কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিচে গুগলের প্রধান ওয়েবমাস্টার ট্রেন্ড এনালিস্ট জন মুলারের Google SEO office-hours ভিডিও দেখতে পারেন। এখানে উনি স্পষ্ট বলেছেন টাইটেল ট্যাগ গুগলে কাছে নগণ্য একটি র্যাংকিং ফ্যাক্টর তবে Ranking Factor কাজেই এটাকে ইগনোর করার কথা বলছি না।
টাইটেল মডিফাই করার উপায়
টাইটেল ট্যাগে মডিফায়ার যেমন "বেস্ট", "রিভিউ" "সেরা", "২৫% ছাড়", "চেকলিস্ট", "গাইড", "দ্রুত", "টিপস" ইত্যাদি। আপনার টাইটেলে যখন মডিফায়ার ব্যবহার করবেন তখন ক্লিক রেট বাড়াতে পারবেন পাশাপাশি ফোকাস কীওয়ার্ডের লং টেল ভার্সনের জন্যও র্যাংক করতে পারবেন।
এখানে "seo tools free" এই কীওয়ার্ডের উপরে র্যাংক করা সাইটের সবাই তাঁদের শিরোনামে মডিফায়ার ব্যবহার করেছে। ফলে আমরা বুঝতে পারলাম টাইটেল ট্যাগে মডিফায়ার উইজ করা গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ।তাছাড়া টাইটেল ট্যাগে আরও কিছু মডিফায়ার ব্যবহার করা যায় তবে এটি আপনার ওয়েবসাইট কোন ধরণের তা বুঝে বলা যাবে।
ই-কমার্স সাইট হলে টাইটেলে ২৫% ছাড়, ফ্রি ডেলিভারি, দ্রুত ডেলিভারি, ইদ অফার ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। অন্যদিকে এডুকেশনাল ওয়েবসাইট হলে পিডিএফ, ডাউনলোড, প্রকাশিত, সমাধানসহ, অর্থসহ এগুলো কনটেন্ট বেসিস শিরোনামের সাথে যুক্ত করতে পারেন।
পারমালিংক অপটিমাইজ
কোন কনটেন্ট/ আর্টিকেলের জন্য ইউনিক একটি ঠিকানাকে বলা হয় পারমালিংক বা ইউআরএল। ইন্টারনেট বিশাল তথ্যের একটি ভাণ্ডার কাজেই এখানে তথ্য সহজে খুঁজে পাওয়ার জন্য ইউআরএল একটি কার্যকরী পদ্ধতি। এখানে https://en.wikipedia.org/computer এটি একটি ইউআরএল। একটি ইউআরএল এর বিভিন্ন অংশ আছে তবে এগুলো সম্পর্কে আজকে আলোচনায় যাবো না।
এখানে আমরা সার্প পেজে মূল ডোমেইনের পাশে খুব সুন্দর করে পারমালিংক দেখতে পাচ্ছি। এই সকল সাইট যদি বড় পারমালিংক উইজ করত তাহলে এভাবে শো করত না এবং সিটিআর কমে যেত।
আপনার ওয়েবসাইটের রুট ইউআরএলের সাথে "স্ল্যাশ (/)" দিয়ে কিছু লেখা থাকে যেমনঃ https://www.potentialit.xyz/importance-of-seo এখানে ইটালিক হরফে লেখা অংশটিকে পারমালিংক বলে যা এসই এর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। পারমালিংক অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে যে সকল বিষয়ে লক্ষ্য রাখবেন -
- পারমালিংকে মূল কীওয়ার্ড/ ফোকাস কীওয়ার্ড রাখার চেষ্টা করবেন।
- পোস্টের পারমালিংক সব সময় ছোট রাখার চেষ্টা করবেন।
- ছোট পারমালিংক গুগলে ভালো র্যাংক করে (এক্সপেরিমেন্ট)।
- পারমালিংকের প্রতিটা শব্দের মাঝে হাইফেন (-) ব্যবহার করবেন। অনেকে হাইফেনের পরিবর্তে আন্ডারস্কোর উইজ করে (_) এটা ভালো প্র্যাকটিস না।
- ছোট পারমালিংক পোস্ট দ্রুত ইনডেক্স করতে সাহায্য করে। মনে রাখবেন আপনি সার্চ ইঞ্জিনের জন্য ভালো মেথড উইজ করবেন সাইটের জন্য তত ভালো।
- পারমালিংকের প্রতিটা শব্দ ছোট অক্ষরের হতে হবে।
- পারমালিংকে কখনও তারিখ/ সাল ব্যবহার করবেন না। পূর্বে ওয়ার্ডপ্রেসে এটা করা হতো ২০২০ থেকে ওরা বাদ দিলেও গুগল ব্লগস্পট এখনও দেয়নি।
- সব সময় https ভার্সন ব্যবহার করবেন। এটি গুগলের একটি র্যাংকিং ফ্যাক্টর।
- আপনার পোস্টের টাইটেল হুবহু পারমালিংকে ব্যবহার করবেন না।
- কোন ডায়নামিক ইউআরএল ব্যবহার করবেন না যেমনঃ https://potentialit.xyz/?utm_source=google&utm_medium=banner&utm_campaign=ads_campaign. এটি ডুপ্লিকেট কনটেন্ট ইস্যু তৈরি করার পাশাপাশি ইনডেক্সজনিত ঝামেলা করে। সাধারণত ই-কমার্স সাইটে কিছু ফিল্টার করার সময় এই ধরণের ইউআরএল দেখা যায়।
- অনেক ওয়েবসাইট পারমালিংকের সাথে পোস্ট ক্যাটাগরি বা ট্যাগযুক্ত করে থাকেন যেমনঃ https://backlinko.com/hub/seo/youtube এখানে hub ও seo হলো ক্যাটাগরি। পারমালিংকে কখনোই তিনটার বেশি ক্যাটাগরি/ ট্যাগ এড করবেন না।
প্রথম ১০০ শব্দের মধ্যে টার্গেটেড কীওয়ার্ড ব্যবহার
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন জগতে এটি বহুল ব্যবহৃত একটি মেথড। এখনও এসইও এক্সপার্টরা এটি ব্যবহার করেন এবং র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আপনার ফোকাস কীওয়ার্ড কনটেন্টের প্রথম ১০০ শব্দের মধ্যে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। গুগল আপনার কনটেন্টের শুরুর দিকের শব্দগুলোর প্রতি বেশি ফোকাস করে। ফলে সার্চ ইঞ্জিন কনটেন্ট সম্পর্কে দ্রুত ধারণা পাবে এবং দ্রুত ইনডেক্স ও র্যাংক করাতে সহজ হবে।
এখানে আমরা এসইও ইন্ডাস্ট্রির টপ কিছু ওয়েবসাইট রিসার্চ করেছি। চলুন তারা এই কাজটি করে কিনা দেখে আসা যাক।
এখানে "on-page seo" এই কীওয়ার্ডে ফাস্ট পেজের ১ম পজিশনে আছে Moz। আমরা খেয়াল করলে দেখবো তারা আর্টিকেলের একদম শুরুতে ফোকাস কীওয়ার্ড উইজ করেছে।
এখানে ২য় পজিশনে থাকা Backlinko কনটেন্টের একদম শুরুর দিকে Targeted Keyword ব্যবহার করা হয়েছে।
৩য় পজিশনে থাকা এসইও ইন্ডাস্ট্রির বিগ নেম আশরাফ ভাই (সরি! Ahrefs এর সঠিক উচ্চারণ "এইচরেফস") পোস্টের শুরুতে Focus Keyword ব্যবহার করেছে। এখানে লক্ষণীয় ১ম তিনজনের মধ্যে যে ফোকাস কীওয়ার্ড যতটা শুরুর দিকে ব্যবহার করেছে তার র্যাংক তত ভালো। তবে অন পেজ অপটিমেইজেশনের আরও ফ্যাক্টর আছে যা আমরা আলোচনায় এনেছি।
তাছাড়া এখানে টপ টেনে এসইও গুরু নেইল প্যাটেলের সাইট উবারসাজেস্ট নেই। তিনি প্রায় ২য় প্যারাতে ৫৪তম শব্দের পরে Main Keyword ব্যবহার করেছেন। অন্যদিকে টপ টেনে থাকা সবাই আর্টিকেলের শুরুতে মেইন কীওয়ার্ড রেখেছেন। ফলে আমরা পোস্টের শুরুতে টার্গেটেড কীওয়ার্ড ব্যবহারের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছি।
পোস্টে হেডিং ট্যাগ ব্যবহার
H-tag ছয় ধরণের হয়ে থাকে এগুলোর হলোঃ h-h6 পর্যন্ত। H1 ট্যাগকে ওয়েবসাইটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ H-tag বলা হয়। এমনকি h1 tag গুগলকে আপনার কনটেন্ট সম্পর্কে বুঝতে সাহায্য করে। ফলে চেষ্টা করবেন আপনার পোস্টের টাইটেল যেন h1 ট্যাগে থাকে।
সাধারণত বেশিরভাগ CMS (যেমনঃ ব্লগার, ওয়ার্ডপ্রেস ইত্যাদি) এ পোস্ট টাইটেল ডিফল্টভাবে H1 tag যুক্ত হয়ে থাকে। এছাড়া পোস্টে হেডিং ট্যাগ ব্যবহার করলে ভিজিটররা সহজেই আর্টিকেল পড়ে বুঝতে পারে এবং আর্টিকেল পড়তে তাঁদের জন্য সুবিধা হয়। একটি পোস্টে একের অধিক H1 ট্যাগ ব্যবহার না করাই ভালো। তবে H2-H6 আপনার ইচ্ছামত একাধিকবার ব্যবহার করতে পারেন।
তবে আপনার আর্টিকেলে অবশ্যই সাবহেডিং (h2-h6) ব্যবহার করবেন। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো H-Tag এ আপনার কনটেন্ট রিলেটেড কীওয়ার্ড ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। এতে করে সার্চ রেজাল্টে সুবিধা পেতে পারেন।
Zappy.com এর এসইও স্পেশালিষ্ট Cyrus টুইটারে একটি পোলের আয়োজন করেন যেখানে প্রায় ৬০% SEO's মনে করেন একটি H1 ট্যাগ ব্যবহার করা উচিত এবং এটাকে গুগল রিকোমেন্ড করেন। আসলে H1 Tag গুগলকে আপনার পেজ স্ট্রাকচার ও কনটেন্ট সম্পর্কে বুঝতে সাহায্য করে।
একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন পোস্টে একটি H3 ট্যাগ এরপর H2, H4 আবার H3 এভাবে জগাখিচুড়ি করবেন না। এতে করে উইজার এক্সপেরিয়েন্সে বাজে প্রভাব পড়বে। কারণ ফন্ট সাইজ জনিত বিষয়ের পাশাপাশি ধারাবাহিকতাও বুঝতে সমস্যা হবে। এক্ষেত্রে নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে।
তবে গুগলের জন মুলার এই বিষয়ে বলেছেন, "আপনি যতবার ইচ্ছা H1 ট্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। এখানে কোন লিমিট নেই। তাছাড়া যদি H1 ব্যবহার না করেন তাহলেও কোন সমস্যা নেই। তবে H1 ট্যাগ গুগলকে কনটেন্ট বুঝতে সাহায্য করে এবং পেজের স্ট্রাকচারকে সুন্দর করে।" নিচে জন মুলারের সেশনটি যুক্ত করা হয়েছে।
তবে একাধিক h1 ব্যবহার নিয়ে জন মুলারের সাথে অনেক এসইও এক্সপার্টরাই একমত না। যদিও টেকনিকাল দিক চিন্তা করলে জন মুলার ঠিক বলেছেন কারণ HTML5 চারটি H1 ট্যাগ এলাউ করে থাকে। WebAIM পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে শতকরা ৬০% ভিজিটর একটি পোস্টে একটি মাত্র H1 ট্যাগ ব্যবহার করা পছন্দ করেন। ফলে আমি বলবো একটি পোস্টে একটি H1 ব্যবহার করাই উত্তম।
Use Internal Link
ইন্টারনাল লিংক এসইও এর ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ফ্যাক্টর। আপনার যে পেজের অথোরিটি বেশি উক্ত পেজ থেকে কম অথোরিটির পেজে ইন্টার্নাল লিংকিং করা ভালো। সাধারণত আমরা নতুন কনটেন্ট পাবলিশ করলে উক্ত পেজের অথোরিটি সব থেকে কম হয়ে থাকে।
কোন পেজের অথোরিটি কেমন তা বুঝার জন্য Moz Chrome Extension ব্যবহার করবেন। এবার উক্ত পেজের ভিজিট করার পর Moz Bar এ চাপ দিলে PA নামে একটি অপশন দেখতে পারবেন সেখানে ১-১০০ পর্যন্ত নাম্বারিং করা হয়।
যে পেজের নাম্বার যত বেশি তার অথোরিটি তত ভালো। সংক্ষেপে বলে রাখি যে পেজের জন্য যত বেশি ব্যাকলিংক নিবেন তার অথোরিটি তত বেশি হয়ে থাকে। এ বিষয়ে অফ পেজ এসইও পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
ইন্টার্নাল লিংকিং করার ক্ষেত্রে আমরা সবাই বেশ কিছু ভুল করে থাকি। এই লিংকে ক্লিক করুন, এই পোস্ট পড়ুন, এখানে চাপ দিন ইত্যাদি ব্যাকাংশের মাধ্যমে অন্য পেজকে লিংক দেই যা র্যাংক বুস্ট করতে কাজে আসে না। Internal Link করতে হবে আপনার পোস্টের (যেটাকে লিংক করতে চান) ফোকাস কীওয়ার্ডের সাথে মিল রেখে।
আপনার পোস্ট যদি বিকাশের বিভিন্ন অফার নিয়ে হয় তাহলে Anchor Text হবে বিকাশ অফার, যদি পেইড কনটেন্ট লেখা সংক্রান্ত হয় সংক্রান্ত হয় তাহলে Anchor Text হবে আর্টিকেল রাইটিং সার্ভিস। উপরে আমরা উইকিপিডিয়ার ইন্টারনাল লিংকিং মেথড দেখিয়েছি। তারা ঠিক এইভাবে কাজ করে এবং তাঁদের সাইটের র্যাংক সম্পর্কে আমরা অবগত আছি।
Use External Link
External Link এর অপর নাম Outbound Link। আপনার কোন পোস্ট থেকে যখন অন্য ওয়েবসাইটের কোন পোস্ট বা আর্টিকেলকে রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ করেন তখন সেটি এক্সটারনাল লিংক। আপনি ভাবতে পারেন এক্সটারনাল লিংক ব্যবহার করলে অন্য সাইটের অথোরিটি বাড়বে এতে আমার লাভ কী?
এক্সটার্নাল লিংকিং করলে গুগল আপনার পোস্ট সম্পর্কে সহজেই বুঝতে পারে। ধরুন আপনি "যাত্রাবাড়ীর সেরা ইংরেজি শিক্ষক কে?" এই টপিকে পোস্ট লিখলেন এবং উত্তরে লিখলেন যাত্রাবাড়ীর সেরা ইংরেজি শিক্ষক লুৎফুর রহমান স্যার।
পোস্টে প্রথম আলোর একটি লিংক দিলেন যেখানে এই তথ্যটি আছে। ফলে গুগল সহজেই আপনার পোস্টের টপিক বুঝে ফেলবে এবং আপনার প্রদত্ত তথ্যকে কোয়ালিটি ইনফো মনে করবে।
রিবুট অনলাইন টিম এক্সটার্নাল লিংক গুগলের র্যাংকিংয়ে প্রভাব ফেলে কিনা তা বুঝার জন্য একটি এক্সপেরিমেন্ট করেছিল। নিচে আমরা তাঁদের এক্সপেরিমেন্টকৃত ফলাফল তুলে ধরেছি।
তারা ১০টি নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করে। এদের মধ্যে ৫টি সাইটের পোস্টে বিভিন্ন অথোরিটি সাইটকে লিংক করে (যেমনঃ Oxford University, Cambridge University, Phylandocic)। অন্যদিকে বাকি ৫টি পোস্টে কোন সাইটকে লিংক দেয়নি।
৫ মাস পরে তারা দেখল যে সকল সাইটে এক্সটারনাল লিংক করা হয়নি সেগুলো হাই অথোরিটি এক্সটারনাল লিংক যুক্ত সাইটের থেকে র্যাংকে পিছিয়ে রয়েছে। বলা বাহুল্য এক্সটারনাল লিংক বাদে ১০টি সাইটের প্রায় সব কিছু একই ছিল।
Image Optimization
ইমেজ অপটিমাইজেশন করা খুবই সহজ কাজ। আপনার ছবিতে শুধুমাত্র একটি ফাইল নেম এবং ওয়েবসাইটে ছবি আপলোড করার পর alt text দিবেন। নিচে আমরা ইমেজে ফাইল নেম কিভাবে যুক্ত করতে হয় তা দেখিয়েছি।
আমরা যখন কোন ছবি তুলি/ এডিট করি/ কাস্টম ইমেজ তৈরি করি সেগুলো সেভ করার সময় 123456987.jpg এইভাবে ফাইল নেম তৈরি হয়। খেয়াল করুন এই নাম্বার দেখে কি বলা সম্ভব ছবিটি কী নিয়ে বা কী সম্পর্কে?
একইভাবে এ সকল ছবি দেখে গুগল বুঝতে পারে না ছবিটি কী বুঝাতে চাচ্ছে। কাজেই আমরা ইমেজ সেইভ করার সময় অবশ্যই ওই রিলেটেড কীওয়ার্ড ফাইল নেমে প্লেস করবো। ফাইল নেমের প্রতিটি শব্দের পর অবশ্যই হাইফেন দিবেন। যদি হাইফেন না দেন তাহলে ছবি আপলোড করার পর ছবির লিংক সুন্দর লাগবে না।
ছবিতে যে ফাইল নেম দিবেন একই কীওয়ার্ড alt text এ দিবেন। Alt text আপনার ছবি কী নিয়ে সেটি সরাসরি গুগলকে বুঝিয়ে দেয়। তবে alt text এ কোন হাইফেন দিবেন না আর সব একই থাকবে। তাছাড়া alt text আপনার পোস্টের টপিক বুঝতে গুগলকে সাহায্য করে।
কারণ একটা পোস্টে একাধিক ইমেজ ব্যবহার করতে হয় এবং একাধিক alt text এ একাধিক রিলেটেড কীওয়ার্ড ইনপুট দেওয়ার ফলে গুগল বুঝে ফেলে পোস্টটি কি সম্পর্কে লেখা হয়েছে।
ছবির সাইজ ছোট রাখুন
বর্তমানে ওয়েবসাইট লোডিং স্পিড গুগলের একটি র্যাংকিং ফ্যাক্টর হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে লোডিং স্পিড বৃদ্ধির পেছনে অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করে ছবি।
কাজেই ওয়েবসাইটে আপলোডকৃত ছবির সাইট ছোট রাখার চেষ্টা করবেন। এর জন্য ওয়ার্ডপ্রেসের ক্ষেত্রে Tinypng Plugin ব্যবহার করতে পারেন আর অন্যান্য ক্ষেত্রে Tinypng ওয়েব ভার্সন উইজ করতে পারেন।
ছবি webp ফরম্যাটে রাখলে দেখতে সুন্দর হয় এবং ছবির সাইজ খুব কম হয়। তাছাড়া বর্তমানে সকল ব্রাউজার webp ফরম্যাট সাপোর্ট করে। তবে png ফরম্যাট সঠিকভাবে কম্প্রেস করলে খুব দ্রুত লোড নেয় এবং ছবি দেখতে ঝকঝকে লাগে।
ইউনিক ছবি ব্যবহার করুন
আমার দেখা বেশিরভাগ বাংলা ওয়েবসাইট স্টক ইমেজ ব্যবহার করে থাকে। তবে এ সকল স্টক বা ফ্রি ইমেজ আপনার অন পেজ অপটিমাইজেশন ইম্প্রুভ করতে কোন কাজে আসবে না।
এটির এক্সপেরিমেন্ট করতে রিবুট অনলাইন একদম নতুন কিছু ডোমেইন ক্রয় করে। তারা কিছু ওয়েবসাইটে স্টক ইমেজ ব্যবহার করে এবং অন্য কিছু সাইটে অরজিনাল ইমেজ ব্যবহার করে।
উপরে আপনি তাঁদের এক্সপেরিমেন্টের ফলাফল দেখতে পারছেন। যে সকল সাইটে ইউনিক ছবি ব্যবহার করেছে সেগুলো ডুপ্লিকেট ছবি উইজ করা সাইটকে ওভার র্যাংক করেছে। আমরা মনে করি পটেনশিয়াল আইটিতে কাস্টম ইমেজ ব্যবহার করার ফলে আমরা দ্রুত গুগলে র্যাংক করতে পারছি।
Meta description
বর্তমানে গুগল Meta Description কে নিজের মত করে রিরাইট করে নিচ্ছে। তবে গুগলের মতে মেটা ডেসক্রিপশন নিজে থেকে লেখা একটি ভালো প্র্যাকটিস এবং meta description ফাঁকা রাখা উচিত নয়।
যদিও আমরা দেখেছি বর্তমানে এটি র্যাংকিংয়ে তেমন সাহায্য করছে না। কারণ গুগল প্রায় সকল সাইটের মেটা ডেসক্রিপশন নিজের মত করে সার্চ রেজাল্টে শো করাচ্ছে। নিচের ছবিটির দিকে খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করুন।
এখানে নীল মার্ক করা অংশগুল খেয়াল করুন। এই দুই ক্ষেত্রে গুগল আমাদের লেখা মেটা ডেসক্রিপশন সার্চ রেজাল্টে শো করাচ্ছে। ২য়টার ক্ষেত্রে কনটেন্টের একটি অংশ মেটা ডেসক্রিপশন হিসেবে দেখাচ্ছে। তবে এই স্ক্রিনশট নেওয়ার পর দিন আমরা তিনটা কনটেন্টের মেটা ডেসক্রিপশনে কিছুটা পরিবর্তন আনি এবং সেটার ফলাফল নিচে দেওয়া হলো -
এখানে গুগল আমাদের প্রথম আর্টিকেলের meta description পরিবর্তন করে দিয়েছে। ফলে এখান থেকে শিখতে পারলাম প্রয়োজন ছাড়া মেটা ডেসক্রিপশন পরিবর্তন না করাই ভালো। দ্বিতীয়ত, ১ম স্ক্রিনশটে দেখুন আমাদের টাইটেলটি ক্লিকবেট ছিল বাট এখানে গুগল টাইটেল রিরাইট করেছে।
মেটা ডেসক্রিপশনে অবশ্যই কল টু একশন অথবা ক্লিকবেট কিছু কথাবার্তা যুক্ত করবেন। তবে ভুলভাল কথা লিখে ক্লিকবেট না করাই ভালো। বাংলাদেশি এমন বেশ কিছু সাইট দেখেছি যারা এই কাজ করে থাকে। আমাদের ১ম স্ক্রিনশটের ৩য় মেটা ডেসক্রিপশনে কল টু একশন উইজ করেছি।
আপনি চাইলে এভাবে কাজ করতে পারেন। কিন্তু চেষ্টা করবেন সেটা ১ম চাইলে রাখার কারণ গুগল প্রায় ৭৫ অক্ষর পর্যন্ত শো করে (বাংলার ক্ষেত্রে)। ফলে শেষে কল টু অ্যাকশন দিলে সেটা কাটা পরে যেতে পারে। কিন্তু মেটা ডেসক্রিপশন ইংরেজিতে হলে সমস্যা নেই।
কিওয়ার্ড ডেনসিটি
আমাদের এই আর্টিকেলে যতবার অন পেজ এসইও শব্দটি আছে সেটিকে শতকরায় হিসাব করলে যদি ২% হয় তাহলে আমাদের Keyword Density হবে ২%।
অর্থাৎ প্রতি ১০০ শব্দে আপনার ফোকাস কীওয়ার্ড কতবার আসে সেটিকে বলা হয় কীওয়ার্ড ডেনসিটি। তবে এটি গুগলের কোন র্যাংকিং ফ্যাক্টর নয়। এই বিষয়ে রেডিটে জন মুলারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্ট "no" উত্তর দেন।
০২ মে, ২০২২ গুগল Digital Marketing & E-commerce Certificate এর উপর একটি কোর্স চালু করে। সেখানে তারা Keyword Research and Keyword Stuffing সেকশনে কীওয়ার্ড ডেনসিটি সর্বোচ্চ ২% রাখার জন্য বলেছিল এবং সর্বনিম্ন কোন লিমিট দেয়নি। নিচে এটির স্ক্রিনশট দেওয়া হলো -
পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে টুইটারে গুগল সার্চ টিমের Danny Sullivan কে জানালে বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন এবং ০৭ মে কোর্স থেকে স্ক্রিনশটের অংশটি সরিয়ে ফেলা হয়। আমার মতে পোস্টে আপনার ফোকাস কীওয়ার্ড যতবার আনা প্রয়োজন ততবার আনুন।
এক্ষেত্রে আপনার ডেনসিটি ২% হোক আর ৩% তবে অপ্রয়োজনে ডেনসিটি বাড়ালে কীওয়ার্ড স্টাফিং হয়ে যাবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ফোকাস কীওয়ার্ড বারবার আনার চেয়ে রিলেটেড টার্ম আনা পছন্দ করি। যাইহোক গুগলের মত এতবড় টেক জায়ান্টের থেকে এমন ভুল প্রত্যাশিত নয়।
কোয়ালিটি কন্টেন্ট পাবলিশ
কনটেন্ট, কনটেন্ট এবং কনটেন্ট - আপনার ওয়েবসাইটের জন্য যার কোন বিকল্প নাই। তবে কনটেন্ট সবাই লিখতে পারে কিন্তু আমরা কথা বলবো কোয়ালিটি কনটেন্ট নিয়ে। কোয়ালিটি কনটেন্ট বলে আমরা অনেকেই ইউনিক কনটেন্ট বুঝি অর্থাৎ কোন কনটেন্ট ডুপ্লিকেট না হলেই সেটাকে কোয়ালিটি কনটেন্ট মনে করি।
কোয়ালিটি কনটেন্ট অবশ্যই ইউনিক হতে হবে এটা যেমন ঠিক একইভাবে আপনার প্রতিযোগীদের থেকে ১০০ গুণ তথ্যসমৃদ্ধ হতে হবে। আপনি যে টপিকে কনটেন্ট লিখবেন সেটার সকল তথ্য কভার করার চেষ্টা করবেন।
তাছাড়া আপনার প্রতিযোগীদের কনটেন্ট মনোযোগ সহকারে পড়বেন এটি ছাড়া আপনার কনটেন্ট কনভাবেই ভালো হবে না। তারা কোন ভুল তথ্য দিয়ে থাকলে আপনি সেই তথ্যকে উপযুক্ত প্রমাণসহ ভুল তা তুলে ধরবেন তবে তাঁদের সাইটের/ কারো নাম উল্লেখ করবেন না। এতে করে ভিজিটররা আপনার সাইট সম্পর্কে ভালো ধারণা লাভ করবে।
- একদম নতুন কোন টিপস/ স্ট্রাটেজি।
- কনটেন্ট অব টেবিল থাকা (এটা বর্তমানে ট্রাফিক বৃদ্ধিতেও সহায়ক)।
- নিজের কোন কেস স্টাডি (প্রমাণসহ)।
- একটি বিষয় পর্যায়ক্রমে বর্ণনা করা যাতে করে পড়তে সুবিধা হয়।
- আর্টিকেলের টাইটেলের সাথে পোস্টের মিল থাকা।
- পুরো পোস্ট লিখার পর ভূমিকা লেখা।
- ওয়েবসাইটের ডিজাইন যতটা সম্ভব সিম্পল রাখা।
- ৫ লাইনে উত্তর দেওয়া যায় এমন পোস্ট ৫০০ লাইনে লিখবেন না।
কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখবো?
এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট লিখতে হবে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য যাতে করে ভালো র্যাংক পান। মনে রাখবেন কোয়ালিটি কনটেন্ট আর এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট এক নাও হতে পারে।
এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট লেখার আগে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে Keyword Research করতে হবে। আপনি যে টপিকে কনটেন্ট লিখবেন সেটার আসলে সার্চ ইনটেন্ড কী সেটা খুঁজে বের করতে হবে। আপনি গুগলে মোবাইল ব্যাটারি লিখে সার্চ করলে তিন টাইপের কনটেন্ট খুঁজে পাবেন-
এখানে এই কীওয়ার্ডের উপর মানুষ কোন কোন ধরণের বিষয় জানতে চায় সেগুলো বুঝে গুগল এই সাইটগুলোকে র্যাংক দিয়েছে। গুগলে থেকে সার্চ ইনটেন্ট কেউ ভালো বুঝে না। অর্থাৎ কেউ মোবাইল ব্যাটারি লিখে সার্চ করলে সে হয়তো ব্যাটারির দাম জানতে চাইতে পারে।
যাতে করে ব্যাটারি কিনতে গিয়ে ঝামেলা না হয় অথবা অনলাইন থেকেও কিনতে পারে। অন্যদিকে কেউ সরাসরি ব্যাটারি কিনতে চাইতে পারে, অন্যপক্ষ হয়তো ব্যাটারি সম্পর্কে তথ্য খুঁজে পারে। ফলে এটাই হচ্ছে এই কীওয়ার্ডের পেছনের উদ্দেশ্য।
দ্বিতীয়ত, আপনাকে কনটেন্ট ফরম্যাট দেখতে হবে। কনটেন্ট ফরম্যাট সাধারণত ব্লগ, নিউজপেপার সাইট, রিভিউ, how-to ইত্যাদি ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহার করা হয়। কনটেন্ট ফরম্যাট কী এই সম্পর্কে ধারণা পেতে নিচের ছবিটি দেখুন।
আমরা "২০২৩ সালের সেরা ল্যাপটপ" লিখে গুগলে সার্চ করেছিলাম। এখানে ১ম চারটি ওয়েবসাইটের কনটেন্ট ফরম্যাট লিস্ট পোস্ট বা তালিকা। অর্থাৎ তারা কিছু ল্যাপটপের তালিকা দিয়েছি। এর মধ্যে ৩য় সাইট অ্যামাজন এফিলিয়েট এবং রিভিউ ফরম্যাটের। ফলে আপনি এই কীওয়ার্ডে কনটেন্ট দিলে আপনাকে অবশ্যই ল্যাপটপের তালিকা দিতে হবে। নাহলে টপ টেনে র্যাংক না করার সম্ভবনা বেশি।
তৃতীয়ত, আপনাকে উইজারের দৃষ্টিকোণ/ মনোভাব সম্পর্কে বুঝতে হবে। দৃষ্টিকোণের জিনিসটা খুব ভালোভাবে বুঝার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে আমরা বাংলায় ভালো কনটেন্ট না পাওয়ার ইংরেজি কীওয়ার্ড নিয়ে কাজ করেছি।
এখানে আমরা "how to install ac" এই কীওয়ার্ড লিখে সার্চ করেছি। এই কীওয়ার্ড দেখে বুঝা যাচ্ছে উইজার এসি ইনস্টল করতে চায় কিন্তু... এটা কি কোন মেকানিক করবে না সে নিজে করতে চায়? অর্থাৎ তার এই সার্চের পিছনে মনোভাব কী? আমরা এই কীওয়ার্ডে সার্পে কোন এসি সার্ভিসিং/ ইনস্টলেশন সাইট পাইনি। তার মানে যারা "how to install ac" লিখে সার্চ করে তারা নিজেরাই এসি লাগাতে চায় এবং সেটার গাইডলাইন খুঁজে।
কাজেই আপনি যদি এই জাতীয় সার্ভিস দিয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে আলাদা ব্লগ বানিয়ে এটার উপর গাইডলাইন দিতে হবে এবং সেখান থেকে ক্লায়েন্ট পাবেন। এই কীওয়ার্ডে গুগল সরাসরি সার্ভিস অফার করা কোন সাইটকে র্যাংকে রাখবে না।
আশা করি এসইও কনটেন্ট রাইটিং প্রক্রিয়াটা সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা পেয়েছেন। এছাড়া আমাদের পুরো পোস্ট জুড়ে যে সকল বিষয়ের উপর আলোকপাত করেছি সেগুলো মেনে কনটেন্ট লিখলে অর্গানিক ট্রাফিক পাওয়া সহজতর হবে।
নিয়মিত নতুন পোস্ট প্রকাশ
নিয়মিত নতুন পোস্ট পাবলিশ করলে ওয়েবসাইটের গ্রহণযোগ্যতা গুগলের কাছে বৃদ্ধি পায়। তবে পোস্টের সংখ্যার চাইতে পোস্টের কোয়ালিটির দিকেও নজর রাখতে হবে। সার্চ ইঞ্জিন জার্নাল ও সেমরাশের একটি যৌথ কেস স্টাডিতে উঠে এসেছে কনটেন্ট আপডেট করলে পেজ ভিউ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়।
তাছাড়া প্রতিদিন নতুন কনটেন্ট লিখলে ওয়েবসাইটে ভিজিটর দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। আপনি যত বেশি কোয়ালিটি কনটেন্ট পাবলিশ করবেন আপনার সাইটের উইজার এক্সপেরিয়েন্স থেকে শুরু করে সিটিআর তত দ্রুত বাড়বে। তবে অবশ্যই কনটেন্টের মানের দিকে খেয়াল রাখবেন।
বড় পোস্ট লেখা
আপনি কি জানেন গুগলে বড় পোস্ট দ্রুত ও দীর্ঘস্থায়ী র্যাংক করে? বড় কনটেন্ট একটি টপিকের আদ্যোপান্ত কভার করতে পারে তাই গুগল ছোট পোস্টের চেয়ে বড় পোস্ট বেশি পছন্দ করে। তবে আমি আগেই বলেছি ৫ লাইনে উত্তর দেওয়া যায় সেটাকে আপনি ইনিয়ে বিনিয়ে ৫০০ লাইন করলে র্যাংক করবে না বরং স্প্যামিং হিসেবে কাউন্ট হতে পারে।
তাছাড়া এই বিষয়ে জন মুলারকে রেডিটে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। উনি স্পষ্ট বলেছেন Word Count গুগলের কোন র্যাংকিং ফ্যাক্টর না।
টুইটারে একটি প্রশ্নের জবাবে মিঃ মুলার একই কথা বলেছেন এবং সেখানে উনি স্পষ্ট বলেছেন আপনার যত শব্দে একটি টপিক লেখা প্রয়োজন তত শব্দে লিখুন। যদিও বাংলা সাইটের ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে স্প্যামিং করতে দেখা যায়।
তবে দুইজন এসইও এক্সপার্ট Neil Patel ও Brian Dean কনটেন্টের শব্দ সংখ্যা সম্পর্কে একটি ধারণা দিয়েছেন। কিন্তু এটা সব টপিকের বেলায় প্রযোজ্য না যেমনঃ বঙ্গবন্ধু কতসালে জন্মগ্রহণ করেন? এটাকে আপনি চাইলেও ১০ লাইনে লিখতে পারবেন না অথবা লিখলে গুগল স্প্যামিং ধরে নিবে এমনকি ইনডেক্স নাও করতে পারে।
Neil Patel এর মতে গুগলের ফাস্ট পেজের ফাস্ট পজিশনে র্যাংক করার জন্য ২২০০ শব্দের আর্টিকেল প্রয়োজন। অন্যদিকে Brian Dean প্রায় ১১.৮ মিলিয়ন গুগল সার্চ রেজাল্ট যাচাই করে বের করেছেন যারা গুগলের ১ম পজিশন দখল করে থাকে তাদের আর্টিকেল গড়ে ১৪৪৭ শব্দের হয়ে থাকে। এছাড়া বড় আর্টিকেলের ক্ষেত্রে লিংক বিল্ডিং, সোশ্যাল শেয়ার, উইজার এক্সপেরিয়েন্স সব কিছুতে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়।
Simple and Readable Content
আপনার কনটেন্টকে যতটা সম্ভব সহজ ও সাবলীলভাবে লিখুন। লেখার সময় বানানের দিকে মনোযোগ দিবেন। শুরুতে আপনার বানান ভুল হবেই তবে আস্তে আস্তে এটা যতটা সম্ভব আনার চেষ্টা করবেন। পোস্ট সব সময় নেটিভ টোনে লিখবেন। পুরো পোস্ট লেখার পরে ভূমিকা লিখবেন। কারণ আপনার ভূমিকা ভালো হলে মানুষ পুরো পোস্ট পড়ার আগ্রহ পাবে।
জনপ্রিয় ব্লগ Hubspot একটি রিসার্চে বলেছে প্রায় ৭৯% মানুষ ওয়েব পেজ স্ক্যান করে। অর্থাৎ তারা যে তথ্য খুঁজতে এসেছে সেটি আপনার পোস্টে খোঁজার ট্রাই করে। কাজেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো শুরুতে দেওয়ার চেষ্টা করুন।
পোস্টে হেডিং, টেবিল অফ কনটেন্ট, বুলেট পয়েন্ট, ক্রমিক নাম্বার, বোল্ড টেক্সট, ছোট প্যারাগ্রাফ ইত্যাদি ব্যবহারের মাধ্যমে পুরো পোস্টকে সুন্দর করে সাজাবেন যেন পড়তে অসুবিধা না হয়। বাংলা ভাষায় একটি প্রবাদ আছে, "আগে দর্শনধারী, পরে গুণবিচারী"।
পোস্টে একই তথ্য ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বারবার দিবেন না। আপনার আর্টিকেল সর্বদা প্রত্যক্ষ উক্তিতে (Active Voice) লিখবেন, পরোক্ষ উক্তি (Passive Voice) কম ব্যবহার করবেন। এছাড়া আপনার পোস্টে ক্রিয়া বিশেষণ (Adverb) কম ব্যবহার করলে পোস্ট সুন্দর লাগবে যেমনঃ Siam quickly ran to bus এর পরিবর্তে Siam sprinted to bus লিখলে পড়তে ভালো লাগে।
Website Speed Optimization
২০১০ সাল থেকেই পেজ স্পিড গুগলের র্যাংকিং ফ্যাক্টর হিসেবে পরিচিত। ২০১৮ সালে গুগল মোবাইল সার্চের ক্ষেত্রে পেজ স্পিডকে র্যাংকিং ফ্যাক্টর ঘোষণা করে। ২০২০ এ গুগল সার্চ সেন্ট্রাল টিম টুইটারে নতুন করে এই বিষয়ে অবগত করে।
২০২১ সালে গুগল জানায় পেজ এক্সপেরিয়েন্স আপডেট ২০২১ সালের আগস্ট মাস নাগাদ পুরোপুরি রোল আউট হবে। আসলে পেজ স্পিড নিয়ে গুগলের এত মাথা ঘামানোর কারণ হলো কোন ওয়েবসাইট লোড নিতে বেশি টাইম নিলে বেশিরভাগ মানুষ গুগলে দায়ী করে।
তাছাড়া এখন ব্রেইভসহ অনেক মর্ডান ব্রাউজার ডিফল্টভাবে এডস ও থার্ড পার্টি ট্রাকার ব্লক করে দিচ্ছে ফলে সেখানে ওয়েবসাইট লোড নিতে কম সময় লাগে। কাজেই গুগল এটাকে র্যাংকিং ফ্যাক্টর হিসেবে বিবেচিত না করলে কেউ গুরুত্ব দিত না।
অন্যদিকে ২০২১ সালে গুগল ক্রোম ডেভেলপার প্রশ্নোত্তর পর্বে জন মুলার বলেছেন, ধরুন ওয়েবসাইট ক এর লোডিং স্পিড ওয়েবসাইট খ এর থেকে ফাস্ট। কিন্তু সার্চ ইনটেন্টের সাথে ওয়েবসাইট খ এর কনটেন্ট বেশি প্রাসঙ্গিক সেক্ষেত্রে গুগল ওয়েবসাইট খ কে র্যাংকে এগিয়ে রাখবে ওয়েবসাইট ক এর তুলনায়।
ওয়েবসাইটের স্পিড বাড়ানোর উপায়
ওয়েবসাইটের স্পিড বাড়ানো নিয়ে এই পোস্টে বেশি আলোচনা করার সুযোগ নেই। কারণ আমরা যে টপিকে কথা বলি সেটার বিস্তারিত কাজ কিভাবে করবেন সব ক্লিয়ার করে থাকি। তবে এখানে বিশেষ কিছু টিপস দিবো যা অন্য কোথাও পাবেন না।
- ওয়েবসাইটের ফন্ট স্ক্রিপ্টের ভিতরে rel='preload' ফাংশন ব্যবহার করবেন এতে করে ফন্ট সবার আগে লোড হবে।
- Image Lazy Loading পদ্ধতি ব্যবহার করবেন। ওয়ার্ডপ্রেসের ৫.৪ ভার্সন থেকে এটা ডিফল্টভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ব্লগারের ক্ষেত্রে এটার জন্য আলাদা জাবাস্ক্রিপ্ট উইজ করতে হবে।
- স্পিড কম হওয়ার জন্য সব থেকে বেশি দায়ী ইমেজ। কাজেই ওয়েবসাইটে ছবি আপলোড করার আগে অপটিমাইজ করে নিন।
- সাইটে অযথা কোন প্লাগিন ব্যবহার করবেন না। যতটা সম্ভব কম প্লাগিন উইজ করুন।
- HTML, Javascript, CSS মিনিফাই করে ব্যবহার করুন।
- ওয়েবসাইটে জাবাস্ক্রিপ্ট যত কম ব্যবহার করবেন স্পিড তত বৃদ্ধি পাবে।
- সাইটের কোডিং ফরম্যাট সঠিকভাবে না থাকলে কিংবা পাইরেটেড ব্লগার থিম উইজ করলেও এই সমস্যা হয়।
- গুগল এনালিটিকস, ফেসবুক পিক্সেল ইত্যাদি সব জাবাস্ক্রিপ্ট গুগল ট্যাগ ম্যানেজারের সাহায্যে লোড করুন।
- Content Delivery Network বা CDN এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট হোস্ট করুন। ব্লগারের ক্ষেত্রে সিডিএন লাগে না।
- ভালো কোম্পানির হোস্টিং ব্যবহার করুন ইত্যাদি।
গুগল সার্চ কনসোলে ওয়েবসাইট সাবমিট করা
গুগল সার্চ কনসোল On-page & off-page SEO দুইটার জন্যই বেস্ট টুলস। গুগল সার্চ কনসোলে ওয়েবসাইট সাবমিট করার নিয়ম নিয়ে আমরা বিস্তারিত পোস্ট লিখেছি। সার্চ কনসোলে সাইট সাবমিট করার জন্য উক্ত পোস্টটি পড়ে নিয়েন।
গুগল সার্চ কনসোলকে কিভাবে আপনার অন পেজ এসইও এর কাজে লাগাবেন তা পর্যায়ক্রমে বর্ণনা করা হলো -
১. প্রথমে আপনার Google Search Console একাউন্টে প্রবেশ করবেন। এরপর ড্রপ ডাউন থেকে যেকোনো একটি সাইট সিলেক্ট করবেন (যদি একাধিক সাইট এড করা থাকে)। Performance সেকশনের অধীনে Search results অপশনে ক্লিক করুন।
২. এখন একদম উপরে হাতের ডানপাশে "Export" লেখায় ক্লিক করবেন। এখানে তিনটা অপশন আসবে। আমি প্রথমটি সিলেক্ট করেছি আপনি চাইলে যেকোনো একটি করতে পারেন। প্রথম অপশন সিলেক্ট করলে গুগল শিটে ডাটা আসবে, ২য় ক্ষেত্রে মাইক্রোসফট এক্সেলে এবং শেষেরটার জন্যও এক্সেলে ডাটা আসবে তবে আলাদা আলাদা ফাইল তৈরি হবে।
৩. এখানে আমরা Google Sheets এ ডাটা নিয়েছি। ছবিতে ৫টি কলামে ডাটা দেখতে পাচ্ছেন। এখানে Top queries এ আপনার কীওয়ার্ড থাকবে যেগুলো লিখে ভিজিটররা সার্চ করে আপনার সাইট দেখেছে/ ক্লিক করেছে, ক্লিকের জায়গায় আপনার উক্ত কীওয়ার্ডের জন্য ক্লিক সংখ্যা, ইম্প্রেশন মানে উক্ত কীওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করার পর আপনার সাইট সার্পে কতবার দেখেছে, CTR হলো কোন নির্দিষ্ট কীওয়ার্ডের জন্য (ক্লিক / ইম্প্রেশন) * ১০০, Position মানে কোন কীওয়ার্ডের জন্য আপনার সাইট কততম পজিশনে র্যাংক করেছে।
আমাদের মূল গেম এখান থেকে শুরু হবে। এখানে আপনি যে সকল কীওয়ার্ডের জন্য বেশি ইম্প্রেশন পান কিন্তু ক্লিক পড়ে না সেগুলোর ক্ষেত্রে কনটেন্ট আপডেট করবেন। আপনার কোন ফোকাস কীওয়ার্ডের পজিশন অনেক দূরে হলে চেষ্টা করবেন ফাস্ট পেজে যারা আছে তাদের থেকে বড় ও কোয়ালিটি কনটেন্ট দেওয়ার।
অন পেজ এসইও টুলস (SEO বাংলা টিউটোরিয়াল)
অন পেজ এসইও এর জন্য সেরা টুলসগুলোর একটা তালিকা আপনাদের সাথে শেয়ার করে যাচ্ছি। এখানে আমি তিনভাগে টুলসগুলোকে ভাগ করেছি।
- Answer the public
- Ahrefs
- Ubersuggest
- Keywordtool.io
- Keyword Revealer
- KWFinder
- Longtail Pro
- Worktracker
- Spyfu
- Bing Webmaster Tools
- Seed Keywords
- Reddit Keyword Research Tool
- Exploding Topics
- Semscoop
- LiveKeyword by BiQ (Chrome Extension)
- Google Search Console
- Ahrefs
- Grammarly
- Clearscope
- Animalz Revive
- SEOtesting
- Hemingway Editor
- Seobility
- Technical SEO
- Screaming Frog
- Google PageSpeed Insights
- Seobility
- Screaming Frog
- Moz Bar
- Ubersuggest
- Similar web
- SEOquake by semrush
- Detailed SEO Extension
- Sneeit Spot (Only for Blogger users)
এখানে আমরা মোটামুটি ৩ ভাগে বিভিন্ন টুলস শেয়ার করেছি। এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ফ্রিমিয়াম (ফ্রি+প্রিমিয়াম)। তবে আপনার যে টুলস ইচ্ছা সেটাই ব্যবহার করুন আমি ব্যক্তিগতভাবে যেগুলো ব্যবহার করি সেগুলো নিয়েই সাজানোর চেষ্টা করেছি।
অন পেজ এসইও এর জন্য সেরা প্লাগিন ব্যবহার করুন
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট চালানো সহজ শুধুমাত্র বিভিন্ন প্লাগিনের সুবিধা আছে বলে। আপনার এসইও থেকে কন্টাক্ট ফর্ম সব প্লাগিনের সাহায্যে নিমিষেই করা যায়। আমরা এখানে কিছু প্লাগিনের নাম উল্লেখ করেছি।
- Yoast SEO: অন পেজ এসইও এর জন্য বেস্ট প্লাগিন।
- UpdraftPlus: ওয়েবসাইট ব্যাকআপের জন্য।
- Optimole: ইমেজ অপটিমাইজেশন করতে চাইলে এটা উইজ করতে পারেন। আমি পার্সোনালি Tinypng ব্যবহার করি।
- Revive Old Post: সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনার সাইটে ট্রাফিক আনতে সহায়ক।
- WP Rocket: ওয়েবসাইটের স্পিড অপটিমাইজেশন করার জন্য ভালো প্লাগিন। এটি ওয়েবসাইট ক্যাচিংয়ের মাধ্যমে লোডিং স্পিড ৬৩% বৃদ্ধি করতে পারে যেখানে W3 total cache ৪৩% করতে পারে।
- Elementor: ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের পেজ বিল্ডার হিসেবে বেশ জনপ্রিয় একটি প্লাগিন।
- WPForms: ওয়েবসাইটের কনটাক্ট ফর্ম তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- All in One SEO: AIOSEO ওয়েবসাইটের অন সাইট এসইও উন্নত করতে সহায়ক। এটি আপনাকে সাইটে কি কি উন্নতি করতে হবে সে সম্পর্কে ধারণা দিবে।
এখানে আমরা Rankmath রাখিনি কারণ আমি ব্যক্তিগতভাবে দেখেছি Rankmath খুবই ভালো কিন্তু অনেক পেজ বিল্ডারের সাথে এটা কনফ্লিক্ট করে। সাইটে কোন প্লাগিন দরকার ছাড়া ব্যবহার করবে না। টেস্ট করার জন্য ব্যবহার করলে অন্য ডেমো সাইটে করাই ভালো।
ওয়েবসাইটে শেয়ার বাটন যুক্ত করুন
সোশ্যাল শেয়ার দুই ধরণের সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। তবে এখানে আমরা ওয়েবসাইট সোশ্যাল শেয়ার বাটনযুক্ত করা নিয়ে ধারণা দিবো। তবে শুরুতে জেনে নেওয়া যাক সোশ্যাল মিডিয়া সিগনাল search engine optimization এ কোন কাজে আসে কিনা।
২০১৫ সালে গুগলের সার্চ এডভোকেট জন মুলার স্পষ্ট বলেছেন সোশ্যাল মিডিয়ার সিগনাল আপনার অর্গানিক র্যাংকিয়ে কোন প্রভাব ফেলবে না। কাজেই আগে এটা ক্লিয়ার হন যে সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার যতই অডিয়েন্স থাকুক না কেন অর্গানিক র্যাংকে সেটা কাজে আসবে না।
তাছাড়া সোশ্যাল প্লাটফর্মগুলোর লিংক নোফলো (ব্যাকলিংক দুই প্রকার যথাঃ ডুফলো ও নোফলো। এটা নিয়ে অফ পেজ এসইও'তে আলোচনা করা হবে।) হয়ে থাকে কাজেই কোন র্যাংকিং বুস্ট পাবেন না।
তবে বিং অ্যালগরিদম সোশ্যাল মিডিয়া সিগনালকে র্যাংকিং ফ্যাক্টর হিসেবে গণ্য করে। তারা মূলত সোশ্যাল শেয়ারকে একটি পোস্টের জনপ্রিয়তা মনে করে এবং বিং সার্চ ইঞ্জিন র্যাংকে সুবিধা দেয়। তবে বিং অ্যালরিদম ফেক ফলোয়ার ও পেজ লাইক ও পোস্ট লাইকের ব্যাপারে সচেতন।
আপনি AddThis এই সাইট থেকে সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার বাটন ফ্রিতে তৈরি করে নিতে পারবেন। তবে আমাদের সাইটে স্পিড অপটিমাইজেশন করার জন্য কাস্টমভাবে (জাবাস্ক্রিপ্ট ছাড়া) সোশ্যাল শেয়ার বাটন তৈরি করেছি।
পোস্টে Tags ব্যবহার
পোস্টে ট্যাগ ব্যবহার করে নিয়ে বিভিন্ন মত আছে। তবে পোস্টে ট্যাগ ব্যবহার করা নিয়ে কোন সমস্যা নেই কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ট্যাগ গুগলে ইনডেক্স করবেন কিনা। আমি বেশ কিছু বাংলা সাইট রিসার্চ করে দেখেছি ট্যাগ ব্যবহার করে তারা ভালো ট্রাফিক পাচ্ছে। নিচে এমন একটি সাইটের স্ক্রিনশট দেখাচ্ছি।
এই সাইটের প্রায় ৩০০টি ট্যাগ গুগলে ইনডেক্স আছে। তবে বেশিরভাগ ট্যাগ অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে যেমনঃ ডিপ্লোমা ইন নার্সিং এই ট্যাগে ক্লিক করার পর যে কনটেন্ট পাচ্ছি সেটি নার্সিং পেশায় বেতন কত এই সম্পর্কে ধারণা দেয়।
বরং তাদের আরেকটি কনটেন্ট "নার্সিং ভর্তি পরীক্ষা ২০২৩ | যা জানতেই হবে" এটা সার্চ ইনটেন্ট অনুযায়ী বেশি মানানসই। ফলে এক্ষেত্রে তাদের বাউন্স রেট বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে।
ট্যাগ ইনডেক্স করলে একদিকে যেমন ডুপ্লিকেট কনটেন্ট ইস্যু আসবে অন্যদিকে thin content সমস্যা ধরা পড়বে। তাছাড়া আপনার ক্রাউল বাজেটও নষ্ট হবে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক প্রশ্নের জবাবে গুগলের সার্চ অ্যাডভোকেট জন মুলার বলেছেন ট্যাগ ব্যবহারে এসইও'তে কোন সুবিধা পাবেন না এবং এটার কোন ম্যাজিকও নেই। বরং ইউজারের সুবিধার্থে আপনার সাইটের ভিতরে ট্যাগ রাখতে পারেন কিন্তু noindex মেটা উইজ করে।
E-A-T
EAT - বলতে এখানে কোন খাদ্য গ্রহণ/ খাওয়াকে বুঝানো হচ্ছে না। এই EAT হচ্ছে Expertise, Authoritativeness, and Trustworthiness। তবে শুরুতেই বলে রাখি E-A-T গুগলের কোন র্যাংকিং ফ্যাক্টর না। কেউ কেউ বলেন EAT Score নামে গুগলের একটি রেটিং সিস্টেম আছে কিন্তু এমন কিছুই প্রকৃতপক্ষে নেই।
E-A-T মূলত YMYL (your money, your life) সাইটের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ র্যাংকিং ফ্যাক্টর। অর্থাৎ ফাইনান্স ও হেলথ রিলেটেড সাইটের অগ্রগতির জন্য E-A-T খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। গুগলের সার্চ এডভোকেট জন মুলার ২০২১ সালের মার্চে ভারতীয় একজন এসইও স্পেশালিষ্টের প্রশ্নের জবাবে E-A-T সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছেন।
আপনার যদি ফাইনান্স ও হেলথ রিলেটেড ওয়েবসাইট হয়ে থাকে তবে সে সাইটের কনটেন্ট যিনি লিখবেন গুগল তাঁর সমস্ত তথ্য ক্রস চেক করবে। লেখকের সোশ্যাল প্রোফাইল, বিভিন্ন ওয়েবসাইটে তাঁর লেখা, ফোরামে প্রকাশিত আর্টিকেল ইত্যাদি ক্রস চেক করে গুগল নিশ্চিত হবে সে আসলেই এই টপিকে (Fiance and Health) যোগ্য, কর্তৃত্ববান ও বিশ্বস্ত কিনা।
একই সেশনে মার্ক অপিটজ নামে একজন এসইও জানান তিনি হেলথ রিলেটেড কনটেন্ট লিখেন এবং র্যাংক করাতে পারছেন না। ফলে বুঝতে পারছেন YMYL সাইটের ক্ষেত্রে E.A.T কতটা ইম্পরট্যান্ট।
কীওয়ার্ড ক্যানিবালাইজেশন
আপনি কি কখনও চিন্তা করেছেন একই কীওয়ার্ডের জন্য ১০টি কনটেন্ট লিখে গুগলের টপ টেন দখলে নিবেন? এসইও'র শুরুর দিকে অধিকাংশ মানুষ এই চিন্তা মাথায় আনে। মূল বিষয়ে যাওয়ার আগে বলে রাখি এটা একটা ক্রাইম!
আপনি যখন একই কীওয়ার্ডের জন্য একাধিক কনটেন্ট কনটেন্ট লিখবেন তখন গুগলের বট কনফিউজড হয়ে যাবে আপনার কোন কীওয়ার্ডকে সে র্যাংকে রাখবে। আর গুগল বট কনফিউজড হওয়া মানে আপনি পেনাল্টি খাবেন অথবা যেকোনো একটি আপডেটে প্রচুর পরিমাণে ট্রাফিক হারাবেন।
কাজেই একই কীওয়ার্ডের জন্য একাধিক কনটেন্ট লিখবেন না। নিশ ও ই-কমার্স সাইটের জন্য এগুলো বেশি হয়ে থাকে। সেখানে দেখা যায় প্রায় একই কীওয়ার্ড দিয়ে ২-৩টা কনটেন্ট লেখা হয়েছে এবং কনটেন্ট রাইটার নিজেও জানে না।
তবে জন মুলারের মতে যদি আপনি সেইম কীওয়ার্ড একাধিক পেজে ব্যবহার করেন তবে সার্চ ইনটেন্ট ভিন্ন ভিন্ন হয় তবে সেটা নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। তবে যদি সেইম ইনটেন্ট হয় তাহলে আপনার সাইট সম্পর্কে গুগলের কাছে নেগেটিভ সিগনাল যাবে। যারা এই বিষয়ে অনভিজ্ঞ তাদের এই মেথডে শুরুতে না যাওয়াই ভালো।
শেষ কথা - অন পেজ এসইও
আমি এই পোস্টে আপনাদেরকে অন পেজ এসইও সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি এই গাইডলাইন পড়ে উপকৃত হবেন। এখন আপনাদের পালা! এই পোস্টের কোন পদ্ধতি আপনি আগে থেকে জানতেন না এবং কোনটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে সেটি জানাতে এখুনি কমেন্ট করুন।
ওয়াও এত ইনফরমেশন 🥰। খুবই উপকৃত হয়েছি ভাই। রেগুলার পোস্ট আশা করছি ভাই।
উত্তরমুছুনআপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমাদের সাথেই থাকুন....
মুছুনঅসংখ্য ধন্যবাদ ☻
উত্তরমুছুনখুব উপকারী পোস্ট ভাই। আমার একটা প্রশ্ন ছিল। যদি আমি নিজের এক সাইটের কনটেন্ট প্রয়োজনে অন্য সাইটে পাবলিশ করি তাহলে কি সমস্যা হবে?
উত্তরমুছুনপ্রয়োজনে পাবলিশ করতে পারবেন। তবে সব কপি পেস্ট করবেন না।
মুছুন